/ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ /
২৪খবরবিডি: 'সমাবেশ করার নামে বিএনপি সারা দেশে চাঁদাবাজি করছে বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।'
'মন্ত্রী বলেন, বিএনপি চট্টগ্রামে সমাবেশের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিয়েছে। ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন বিভাগীয় সমাবেশ করার জন্য বিরাট একটি চাঁদার প্রকল্প তৈরি করেছে। আমি শুনেছি চট্টগ্রামে সমাবেশের নামে যে চাঁদা উঠেছিল তার অর্ধেক তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিএনপির সমাবেশে মানুষকে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যখন এরকম বাধার কথা বলে আমি তাদের একটু পেছনে ফিরে তাকাতে বলি। ২১ আগস্টের সমাবেশে হামলা বিএনপি করেছিল। কিবরিয়া সাহেবের সমাবেশে, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাবেশে এবং নারায়ণগঞ্জের সমাবেশে, আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাবেশে হামলা বিএনপি করেছিল। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা করে তারা বহু মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের আমলে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে স্থায়ী কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছিল। যেন কেউ এর বাইরে যেতে না পারে। বিএনপি এখন যে সমাবেশ করছে কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যাতে সঠিকভাবে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য প্রশাসন সহযোগিতা করছে। কিন্তু সমাবেশের নামে তারা অতীতে যেহেতু ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে সেজন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে হয়। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা। সেটির স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রে তল্লাশি করতে হয়েছে বা হচ্ছে।'
'যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত পাকিস্তানের নৃশংস গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে এবং জাতিগত গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে- এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের আমি ধন্যবাদ জানাই।
'বিএনপি সমাবেশের নামে চাঁদাবাজি করছে' : তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘ যাতে স্বীকৃতি দেয়, সে জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন ঘটনা পৃথিবীতে কোথাও ঘটেনি। রুয়ান্ডার গণহত্যাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১৯৭১ সালে। এটার স্বীকৃতি অবশ্যই হওয়া উচিত।'